1952 Jan 1 - 1964
নেহেরু প্রশাসন
Indiaজওহরলাল নেহরু, যাকে প্রায়শই আধুনিক ভারতীয় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দেখা যায়, সাতটি মূল উদ্দেশ্য নিয়ে একটি জাতীয় দর্শন তৈরি করেছিলেন: জাতীয় ঐক্য, সংসদীয় গণতন্ত্র, শিল্পায়ন, সমাজতন্ত্র, বৈজ্ঞানিক মেজাজের বিকাশ এবং অসংলগ্নতা।এই দর্শন তার অনেক নীতির উপর ভিত্তি করে, যা পাবলিক সেক্টরের শ্রমিক, শিল্প হাউস এবং মধ্য ও উচ্চ কৃষকদের মতো খাতগুলিকে উপকৃত করেছিল।যাইহোক, এই নীতিগুলি শহুরে এবং গ্রামীণ দরিদ্র, বেকার এবং হিন্দু মৌলবাদীদের উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করেনি।[২৬]1950 সালে বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যুর পর, নেহরু প্রধান জাতীয় নেতা হয়ে ওঠেন, যা তাকে ভারতের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি আরও স্বাধীনভাবে বাস্তবায়ন করতে দেয়।তার অর্থনৈতিক নীতিগুলি আমদানি প্রতিস্থাপন শিল্পায়ন এবং একটি মিশ্র অর্থনীতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।এই পদ্ধতিটি সরকার-নিয়ন্ত্রিত পাবলিক সেক্টরকে বেসরকারী খাতের সাথে একত্রিত করেছে।[২৭] নেহেরু ইস্পাত, লোহা, কয়লা এবং বিদ্যুতের মতো মৌলিক এবং ভারী শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, এই খাতগুলিকে ভর্তুকি এবং প্রতিরক্ষামূলক নীতি দিয়ে সমর্থন করেছিলেন।[২৮]নেহেরুর নেতৃত্বে, কংগ্রেস পার্টি 1957 এবং 1962 সালে আরও নির্বাচনে জয়লাভ করে। তার শাসনামলে, হিন্দু সমাজে মহিলাদের অধিকারের উন্নতির জন্য এবং [জাতিগত] বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতা মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য আইনি সংস্কার করা হয়েছিল।নেহেরু শিক্ষাকেও চ্যাম্পিয়ান করেছিলেন, যার ফলে ভারতীয় প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের মতো অসংখ্য স্কুল, কলেজ এবং প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।[৩০]ভারতের অর্থনীতির জন্য নেহরুর সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি 1950 সালে পরিকল্পনা কমিশন গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রূপান্তরিত হয়েছিল, যার সভাপতিত্ব করেছিলেন।এই কমিশন সোভিয়েত মডেলের উপর ভিত্তি করে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করে, কেন্দ্রীভূত এবং সমন্বিত জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মসূচির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।[৩১] এই পরিকল্পনার মধ্যে কৃষকদের জন্য কোনো কর, ন্যূনতম মজুরি এবং ব্লু-কলার শ্রমিকদের সুবিধা, এবং মূল শিল্পের জাতীয়করণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।অতিরিক্তভাবে, জনসাধারণের কাজ এবং শিল্পায়নের জন্য গ্রামের সাধারণ জমিগুলি দখল করার অভিযান ছিল, যার ফলে বড় বাঁধ, সেচ খাল, রাস্তা এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল।
▲
●