1952 Feb 21
ভাষা আন্দোলন
Bangladesh1947 সালে, ভারত বিভক্তির পরে, পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের অধিরাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে।44 মিলিয়ন জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও, পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী জনসংখ্যা নিজেদেরকে পাকিস্তানের সরকার, বেসামরিক পরিষেবা এবং সামরিক বাহিনীতে কম প্রতিনিধিত্ব করেছে, যেগুলি পশ্চিম শাখার আধিপত্য ছিল।[১] 1947 সালে করাচিতে একটি জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে একটি প্রস্তাব উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে সমর্থন করেছিল, যা পূর্ববঙ্গে তাত্ক্ষণিক বিরোধিতার জন্ম দেয়।আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ঢাকার ছাত্ররা বাংলাকে সরকারি ভাষা এবং শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানায়।[২] এই প্রতিবাদ সত্ত্বেও, পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন বাংলাকে সরকারী ব্যবহার থেকে বাদ দেয়, জনগণের ক্ষোভকে তীব্রতর করে।[৩]এটি উল্লেখযোগ্য বিক্ষোভের দিকে পরিচালিত করে, বিশেষ করে 1952 সালের 21 ফেব্রুয়ারি, যখন ঢাকায় ছাত্ররা জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে।পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে জবাব দেয়, এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র নিহত হয়।[১] ব্যাপক ধর্মঘট ও শাটডাউন সহ সহিংসতা শহরব্যাপী বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়।স্থানীয় বিধায়কদের অনুরোধ সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী, নুরুল আমিন, সমস্যাটি যথাযথভাবে সমাধান করতে অস্বীকার করেন।এই ঘটনাগুলি সাংবিধানিক সংস্কারের দিকে পরিচালিত করেছিল।1954 সালে উর্দুর পাশাপাশি বাংলা একটি সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে, 1956 সালের সংবিধানে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।যাইহোক, আইয়ুব খানের অধীনে সামরিক শাসন পরবর্তীতে উর্দুকে একমাত্র জাতীয় ভাষা হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।[৪]ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল।পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি সামরিক শাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য পূর্ব পাকিস্তানে অসন্তোষের জন্ম দেয়।বৃহত্তর প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য আওয়ামী লীগের আহ্বান এবং পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাদেশ নামকরণ এই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরিণত হয়।
▲
●
সর্বশেষ সংষ্করণFri Jan 26 2024